কিশোরগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।এই জেলাটি বাংলাদেশের 64 টি জেলার মধ্যে অন্যতম একটি জেলা।এই জেলাটির পেছনে অনেক ইতিহাস রয়েছে।
আজকে আমি আপনাদের সাথে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেই বিষয়টি হচ্ছে সারা বাংলাদেশের মধ্যে কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্য নিয়ে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক কিশোরগঞ্জের ইতিহাস সম্পর্কে ।
বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম একজন নবাবের কথা- বলতে গেলে বারো ভূঁইয়াদের মধ্যে একজন।তিনি হলেন কিশোরগঞ্জ জেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের নবাব ঈশা খাঁ। তিনি বাংলার পূর্ব যুদ্ধক্ষেত্রের একজন আলোকিত সৈনিক।
নবাব ঈশা খাঁ এমন একজন মানুষ ছিলেন যার সামনে কোন মানুষ মাথা উঁচু করে কথা বলতে পারতো না। তিনি বাংলার বিভিন্ন জায়গা যুদ্ধ করে জয় করেছিলেন অনেক রাজ সিংহাসন।অবশেষে জয় করে জঙ্গলবাড়ি দূর্গ। যার নাম ঈশা খাঁর স্মৃতি সংসদ ওই যুদ্ধক্ষেত্রের স্মৃতি পাতা বলে শেষ করা যাবেনা।
বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান যার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানায়।তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে কিশোরগঞ্জের অসমাপ্তি উন্নয়ন ঘটেছিল।বাংলাদেশের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডঃ এম ওসমান ফারুক যার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানায়-গুজাদিয়া ইউনিয়নের বড় টিয়া পাড়া গ্রামে। তিনি বেশ আলোচিত একজন মানুষ।
এখন যে ব্যক্তিটির কথা জানবেন তিনি হলেন বাংলাদেশের শ্রম এবং কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু এমপি । যার বাসস্থান কিশোরগঞ্জ জেলায়। কিশোরগঞ্জের বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের একজন স্বনামধন্য আলোচিত মহানায়ক নায়ক-ইলিয়াস কাঞ্চন ।তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানা আশুতিয়াপাড়া গ্রামে।তার ডাকনাম কাঞ্চন।
ছোটবেলা থেকেই ইলিয়াস কাঞ্চন নাটক,যাত্রাপালা এবং গানের প্রতি ছিল গভীর আগ্রহ।তার ত্যাগের বিনিময়ে অর্জন করেছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের একটি রঙিন পর্দার রঙ্গিন আসন।তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত একজন নায়ক।
ইলিয়াস কাঞ্চন অভিনীত সিনেমা গুলির মধ্যে বেশ জনপ্রিয় কিছু সিনেমা হল- বেদের মেয়ে জোসনা, বাশিওলা,শঙ্খমালা প্রেম, ঝিনুক মালা ইত্যাদি। এগুলো ছাড়াও তার আরো অনেকগুলো বাংলা সিনেমা রয়েছে যেগুলো দর্শকদের কাছে মন কেরেছে।
আরও রয়েছেন কিশোরগঞ্জ জেলার কলাপাড়া গ্রামের অতি সাধারন একজন ছেলে। যার নাম সাইমন। সে আজ জনপ্রিয় একজন নায়ক। তার সিনেমা গুলির মধ্যে সুপারহিট সিনেমা হল-জি হুজুর, পুরা মন ইত্যাদি।
অবশেষে যার কথা বলব তিনি হলেন আমাদের কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার বর্তমান রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।তিনি পেশায় ছিলেন একজন এডভোকেট। তার ত্যাগের বিনিময় অর্জন করেছেন একটি সম্মানিত আসন।তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর থেকে কিশোরগঞ্জ পা দিয়েছে উন্নয়নের অগ্রযাত্রার মহাসড়কে।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জের যাত্রাপথে তৈরি করেছেন বিশাল এক হসপিটাল। যার নাম দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল। এছাড়াও তিনি কিশোরগঞ্জের মিঠামইনকে তৈরি করেছেন বাংলাদেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবে যেখানে লোক চলাচল ছিল একেবারেই অসম্ভব।
কিশোরগঞ্জ এমন একটি জেলা যেটির ইতিহাস আগেই বলেছি অনেক পুরনো।এই জেলাটির সম্পর্কে বললে সারাদিনেও শেষ হবেনা। আমি শুধুমাত্র কিশোরগঞ্জের ইতিহাস এর কিছু কথা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
1 মন্তব্যসমূহ
এই ইতিহাস থেকে বাদ পরে গেছে প্রকৃত ইতিহাসের অনেকটা অংশ,পুর্ব পাকিস্হানের গভর্নর মোনায়েম খান,জহিরুল ইসলাম,স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সৈয়দ নজরুল ইসলাম সহ আরও আনেকেই,এমনটি অপ্রত্যাশিত।ইতিহাসকে বিক্রিত না করে ওকে স্বধারায় চলতে দেয়াই উত্তম।
উত্তরমুছুন